বাংলাদেশে দেশি বিদেশী চক্রান্ত তথা শ্রমিক অসন্তোষের কারণে কারখানা ভাংচুর, রাস্তা অবরোধ, গাড়ি ও যানবাহনের ক্ষতি করা প্রভৃতি অহরহই ঘটছে। এতে শুধু গার্মেন্টস শিল্পের আর্থিক ক্ষতি নয়, ধ্বংস হচ্ছে দেশের কোটি কোটি টাকার সম্পদ এবং বিপর্যস্ত হচ্ছে দেশের জনজীবন।
যেমন কিছুদিন আগে আমাদের নৌপরিবহনমন্ত্রী শাহাজানখান নিজেকে বাদশা শাহজাহান সমতুল্য মনে করে গঠন করেছেন গার্মেন্টস শ্রমিক সমন্বয় পরিষদ নামের একটি সংগঠন। এরই অংশ হিসেবে মজুরি বাড়ানোর মতো জনপ্রিয় বিষয় সামনে রেখে আরপ্রশাসনের সহায়তায় আয়োজন করা হয় প্রথম মহাসমাবেশ। দ্বিধা জাগে ওনার মনে কি পোশাক শ্রমিকদের ভালবাসার (লাভের) তাজমহল বানানোর খায়েশ জেগেছে নাকি নির্বাচন উপলক্ষে ওনাদের ভোট ব্যাংক সমৃদ্ধ করার নিমিত্তে গার্মেন্টস ও টেক্সটাইল শিল্পের উপর প্রতক্ষ ও পরোক্ষভাবে নির্ভরশীল ১৫-২০ মিলিয়ন লোকের সামনে নুন্যতম মজুরী ৮০০০ টাকা করার মুলো ঝুলিয়ে তাদেরকে গিনিপিগ হিসেবে ব্যাবহার করছেন!!
সম্প্রতি পোশাক শ্রমিকের অসন্তোষের মুলে শ্রমিকের কম মুজরি নয়, দায়ী সরকারের ব্যক্তিবর্গের উস্কানি এবং অবহেলা। এসব শিক্ষার আলোবঞ্চিত শ্রমিকদের ব্যবহার করে তারা আজ বিশাল ফায়েদা লুটতে মরিয়া। সরকার নিজেই পোশাকশ্রমিকদের সমাবেশে আয়োজন করে, নিজেই নিজেদের কাছে শ্রমিকদের মজুরি বাড়ানোর দাবি করে।
যে দেশে ৫০০০ টাকায় MBA/BBA এবং ৮০০০ টাকায় BSC Engineer পাওয়া যায় সেখানে এক জন কম বা অশিক্ষিত শ্রমিকের নিম্নবেতন ৮০০০ টাকা কতটা যুক্তি যুক্ত ? হাজার হাজার সরকারি চাকুরীজীবী , শিক্ষক , বেসরকারি চাকরিজীবি আছে যারা উচ্চ শিক্ষিত হয়েও ৮০০০ টাকা পায়না ।অনেকে আবার লাখ লাখ টাকা ঘুষ দেয় ৬০০০ টাকা বেতনের সরকারি চাকুরী পাওয়ারজন্য সেখানে এসব অদ্ভুত অবান্তর দাবি তুলে কারখানা, যানবাহন ভাংচুর করে দেশের কোটি কোটি টাকার সম্পদ ধ্বংস করছে।
এদেশে কখনোই কোন শ্রমিক সংগঠন শিল্প বাঁচিয়ে শ্রমিকদের স্বার্থ ঠিক রাখার কথা ভাবেনা। এমনকি সাধারন শ্রমিকদের স্বার্থের কথাও চিন্তা করে না। ওরা টাকার বিনিময়ে বিভিন্ন রাজনৈতিক তথা দেশি বিদেশী স্বার্থানেসী মহলের প্রোরোচনায় সাধারন শ্রমিকদের বিপথে ঠেলে দিচ্ছে। বিনিময়ে ওরা টাকার পাহাড় গড়লেও সাধারন শ্রমিকদের ভাগ্যে তার সিকে ফোটাও জুটে না।
উদাহরন হিসেবে পাট শিল্প কারখানার শ্রমিকদের বলা যেতে পারে যারা শুধু অধিকার আদায়ের জন্য আন্দোলনে কখনো পিছপা হতনা কিন্তু কারখানায় ঠিকভাবে কাজ করা কিংবা উৎপাদন বাড়ানোর কথা তারা কখনোই ভাবতনা ,ভাবত মালিকরা জালেম ,আমাদের রক্তে টাকা বানায়, যার পরিণাম আমরা পাট শিল্পর অবস্থা থেকেহাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছি। এভাবে চলতে থাকলে অদুর ভবিষ্যতে আমাদের বস্ত্রশীল্পও পাট শিল্পের মত করুন পরিনীতির শিকার হবে।
সরকারের এহেন হীন ভুমিকায় দেখে মনে হচ্ছে ‘ রোম জ্বলছে আর নীরো বাশি বাজাচ্ছে। হিরক রাজার রাজ্যকেও হার মানিয়েছে এই দেশ। যে দেশের মোট রপ্তনি আয়ের ৮৪% আসে টেক্সটাইল ও গার্মেন্টস সেক্টর থেকে। এবং ২০১২-২০১৩ অর্থবছরে এর রপ্তানি ২১.৫ বিলিয়ন ইউ এস ডলার এবং ২০১৩-২০১৪ অর্থবছরে এর রপ্তানি ২৪.৫ বিলিয়ন ইউ এস ডলার, এমন একটা গুরুত্বপুর্ন সেক্টর নিয়ে সরকার হীন রাজনীতি ও ক্ষমতার উম্মত্ততায় লিপ্ত হচ্ছে।
আমার জানা মতে গার্মেন্টস শিল্পে এগিয়ে থাকা শ্রিলংকার গৃহযুদ্ধের পরই সেদেশের অনেক ব্যাবসা আমরা পেয়েছি এবং তা ধরেও রাখছি। এদেশের শিল্প ধংস হলে আরও কার লাভ হতে পারে, সেদিকগুলোও ভেবে দেখা দরকার বৈকি!
সম্প্রতি চিনে শ্রমিকের খরচ বেড়ে যাওয়ায় তাদের পরিকল্পনা কিছু শিল্পকে অন্যদেশে স্থানান্তরিত করা. বাংলাদেশের পোশাক শ্রমিক সস্তা হওয়ায় এবং তাদের দক্ষতা বেশি হওয়ায় একটি সম্ভবনা আছে চিনের পোশাক শিল্পের একটি বড় অংশ ভবিষ্যতে বাংলাদেশে স্থানান্তরিত হবার. যেকোনো উপায়ে অস্থিরতা তৈরী করে বাংলাদেশের পোশাক শ্রমিকদের মজুরি যদি অতি মুল্যায়িত করা যায় তবে ভারতের জন্য একটি সুযোগ তৈরী হবে.কেননা তাদের কম দক্ষ অথচ সস্তা শ্রমিক নিয়ে বাংলাদেশের সাথে প্রতিযোগিতা করা সহজ হবে. আমাদেরকেই ঠিক করতে হবে আমরা কি করব…..
যেকোনো পরিস্থিতিতে স্থান-কাল-পাত্র ও সামগ্রিক পরিপ্রেক্ষিত থেকে স্বাধীনভাবে চিন্তা করলে ভাঙচুর-সংঘর্ষ যেই করুক না কেন এসব কাজ নিন্দনীয় হিসেবে গণ্য হতে পারে। তাছাড়া শ্রমিকেরা যেভাবে রাস্তায় নেমে এসে ভাঙচুর চালাচ্ছেন, সংঘর্ষে লিপ্ত হচ্ছেন তার দ্বারা তাদের পক্ষে ইতিবাচক কোনো কিছু অর্জিত হওয়ার সম্ভাবনা নেই। সুতরাং তাদের এই কর্মকাণ্ড এমনিতে স্বাভাবিক অবস্থায় সমর্থন করা চলে না!!!
তবুও গার্মেন্টস শিল্পের বিকাশে তাদের অবদান এবং তাদের অক্লান্ত পরিশ্রমের কথা বিবেচনা করে সবার উচিত দায়িত্বপূর্ণ আচরনের মাধ্যমে সুষ্ঠুভাবে সমঝোতার মাধ্যমে মালিক-শ্রমিকউভয়ের গ্রহণযোগ্য একটা বেতন কাঠামো নির্ধারণকরা ।
প্রত্যেক গার্মেন্টস কারখানা কমপস্নায়েন্স উত্তীর্ণ হওয়া বাধ্যতামূলক হওয়া আবশ্যক এবং এর ফলে নিরাপত্তা সুদৃঢ় হবে ও অনেক সমস্যা দূরীভূত হবে।গার্মেণ্টস শিল্পেসংঘটিত অপরাধ সমূহের বিচারের জন্য একটি বিশেষ ‘গার্মেন্টস ট্রাইবুনাল’ গঠনকরা যেতে পারে। আমাদের গার্মেণ্টস শিল্পে নিয়োজিত শ্রমিকরা (যাদের অধিকাংশই হচ্ছেন নারী-শ্রমিক) কিছুদিন পর-পর আমাদের চোখের অশ্রু ঝরিয়ে দলে-দলে প্রাণ বিসর্জন দেবে, মালিকদের লোভের বলিতে পরিণত হবে, তারপরও গার্মেন্টস টিকে থাকবে– এরকম ভাবাটা অন্যায়।
আমরা অর্থমূল্যে জীবনের ক্ষতিপূরণে আর বিশ্বাস করি না। অনেক হয়েছে, আর নয়।
শ্রমিক ভাই বোনদের অনুরোধ করছি, আপনারা নিজেদের পেটে লাথি দিবেন না।
আলোচিত রানা প্লাজায় দূর্ঘটনার পরও মালিক পক্ষ তাদের দায় অস্বীকার করেছেন, এ জাতীয় দূর্ঘটনা ঘটতে থাকলে চীনভারতের ষড়যন্ত্র লাগবে না, বিদেশে এমনিতেই আমাদের কোটা কমিয়ে দেবে।আগেইবলেছি যে সরকারের ওপর তেমন ভরসার কিছু নেই।সচেতন হতে হবে সাধারন নাগরিক দেরই, প্রশ্ন করতে হবে “হোয়্যার ইজ আওয়ার কনশাসনেস”।দূর্ঘটনা, প্রানহানী সব দেশেই কিছু না কিছু ঘটে।তবে তদন্ত হয়, দোষী লোকে শাস্তিপায়, ভবিষ্যতের জন্য শিক্ষা নেওয়া হয়।দায় অস্বীকারের সংস্কৃতি আর কতদিন? যে দেশে দায় নিজ কাঁধে নেবার মত লোক বেশী নেই সে দেশ খুবই দূর্ভাগা। দায় স্বীকার সভ্যতার মাত্রা নির্নায়ক।
যেমন কিছুদিন আগে আমাদের নৌপরিবহনমন্ত্রী শাহাজানখান নিজেকে বাদশা শাহজাহান সমতুল্য মনে করে গঠন করেছেন গার্মেন্টস শ্রমিক সমন্বয় পরিষদ নামের একটি সংগঠন। এরই অংশ হিসেবে মজুরি বাড়ানোর মতো জনপ্রিয় বিষয় সামনে রেখে আরপ্রশাসনের সহায়তায় আয়োজন করা হয় প্রথম মহাসমাবেশ। দ্বিধা জাগে ওনার মনে কি পোশাক শ্রমিকদের ভালবাসার (লাভের) তাজমহল বানানোর খায়েশ জেগেছে নাকি নির্বাচন উপলক্ষে ওনাদের ভোট ব্যাংক সমৃদ্ধ করার নিমিত্তে গার্মেন্টস ও টেক্সটাইল শিল্পের উপর প্রতক্ষ ও পরোক্ষভাবে নির্ভরশীল ১৫-২০ মিলিয়ন লোকের সামনে নুন্যতম মজুরী ৮০০০ টাকা করার মুলো ঝুলিয়ে তাদেরকে গিনিপিগ হিসেবে ব্যাবহার করছেন!!
সম্প্রতি পোশাক শ্রমিকের অসন্তোষের মুলে শ্রমিকের কম মুজরি নয়, দায়ী সরকারের ব্যক্তিবর্গের উস্কানি এবং অবহেলা। এসব শিক্ষার আলোবঞ্চিত শ্রমিকদের ব্যবহার করে তারা আজ বিশাল ফায়েদা লুটতে মরিয়া। সরকার নিজেই পোশাকশ্রমিকদের সমাবেশে আয়োজন করে, নিজেই নিজেদের কাছে শ্রমিকদের মজুরি বাড়ানোর দাবি করে।
যে দেশে ৫০০০ টাকায় MBA/BBA এবং ৮০০০ টাকায় BSC Engineer পাওয়া যায় সেখানে এক জন কম বা অশিক্ষিত শ্রমিকের নিম্নবেতন ৮০০০ টাকা কতটা যুক্তি যুক্ত ? হাজার হাজার সরকারি চাকুরীজীবী , শিক্ষক , বেসরকারি চাকরিজীবি আছে যারা উচ্চ শিক্ষিত হয়েও ৮০০০ টাকা পায়না ।অনেকে আবার লাখ লাখ টাকা ঘুষ দেয় ৬০০০ টাকা বেতনের সরকারি চাকুরী পাওয়ারজন্য সেখানে এসব অদ্ভুত অবান্তর দাবি তুলে কারখানা, যানবাহন ভাংচুর করে দেশের কোটি কোটি টাকার সম্পদ ধ্বংস করছে।
এদেশে কখনোই কোন শ্রমিক সংগঠন শিল্প বাঁচিয়ে শ্রমিকদের স্বার্থ ঠিক রাখার কথা ভাবেনা। এমনকি সাধারন শ্রমিকদের স্বার্থের কথাও চিন্তা করে না। ওরা টাকার বিনিময়ে বিভিন্ন রাজনৈতিক তথা দেশি বিদেশী স্বার্থানেসী মহলের প্রোরোচনায় সাধারন শ্রমিকদের বিপথে ঠেলে দিচ্ছে। বিনিময়ে ওরা টাকার পাহাড় গড়লেও সাধারন শ্রমিকদের ভাগ্যে তার সিকে ফোটাও জুটে না।
উদাহরন হিসেবে পাট শিল্প কারখানার শ্রমিকদের বলা যেতে পারে যারা শুধু অধিকার আদায়ের জন্য আন্দোলনে কখনো পিছপা হতনা কিন্তু কারখানায় ঠিকভাবে কাজ করা কিংবা উৎপাদন বাড়ানোর কথা তারা কখনোই ভাবতনা ,ভাবত মালিকরা জালেম ,আমাদের রক্তে টাকা বানায়, যার পরিণাম আমরা পাট শিল্পর অবস্থা থেকেহাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছি। এভাবে চলতে থাকলে অদুর ভবিষ্যতে আমাদের বস্ত্রশীল্পও পাট শিল্পের মত করুন পরিনীতির শিকার হবে।
সরকারের এহেন হীন ভুমিকায় দেখে মনে হচ্ছে ‘ রোম জ্বলছে আর নীরো বাশি বাজাচ্ছে। হিরক রাজার রাজ্যকেও হার মানিয়েছে এই দেশ। যে দেশের মোট রপ্তনি আয়ের ৮৪% আসে টেক্সটাইল ও গার্মেন্টস সেক্টর থেকে। এবং ২০১২-২০১৩ অর্থবছরে এর রপ্তানি ২১.৫ বিলিয়ন ইউ এস ডলার এবং ২০১৩-২০১৪ অর্থবছরে এর রপ্তানি ২৪.৫ বিলিয়ন ইউ এস ডলার, এমন একটা গুরুত্বপুর্ন সেক্টর নিয়ে সরকার হীন রাজনীতি ও ক্ষমতার উম্মত্ততায় লিপ্ত হচ্ছে।
আমার জানা মতে গার্মেন্টস শিল্পে এগিয়ে থাকা শ্রিলংকার গৃহযুদ্ধের পরই সেদেশের অনেক ব্যাবসা আমরা পেয়েছি এবং তা ধরেও রাখছি। এদেশের শিল্প ধংস হলে আরও কার লাভ হতে পারে, সেদিকগুলোও ভেবে দেখা দরকার বৈকি!
সম্প্রতি চিনে শ্রমিকের খরচ বেড়ে যাওয়ায় তাদের পরিকল্পনা কিছু শিল্পকে অন্যদেশে স্থানান্তরিত করা. বাংলাদেশের পোশাক শ্রমিক সস্তা হওয়ায় এবং তাদের দক্ষতা বেশি হওয়ায় একটি সম্ভবনা আছে চিনের পোশাক শিল্পের একটি বড় অংশ ভবিষ্যতে বাংলাদেশে স্থানান্তরিত হবার. যেকোনো উপায়ে অস্থিরতা তৈরী করে বাংলাদেশের পোশাক শ্রমিকদের মজুরি যদি অতি মুল্যায়িত করা যায় তবে ভারতের জন্য একটি সুযোগ তৈরী হবে.কেননা তাদের কম দক্ষ অথচ সস্তা শ্রমিক নিয়ে বাংলাদেশের সাথে প্রতিযোগিতা করা সহজ হবে. আমাদেরকেই ঠিক করতে হবে আমরা কি করব…..
যেকোনো পরিস্থিতিতে স্থান-কাল-পাত্র ও সামগ্রিক পরিপ্রেক্ষিত থেকে স্বাধীনভাবে চিন্তা করলে ভাঙচুর-সংঘর্ষ যেই করুক না কেন এসব কাজ নিন্দনীয় হিসেবে গণ্য হতে পারে। তাছাড়া শ্রমিকেরা যেভাবে রাস্তায় নেমে এসে ভাঙচুর চালাচ্ছেন, সংঘর্ষে লিপ্ত হচ্ছেন তার দ্বারা তাদের পক্ষে ইতিবাচক কোনো কিছু অর্জিত হওয়ার সম্ভাবনা নেই। সুতরাং তাদের এই কর্মকাণ্ড এমনিতে স্বাভাবিক অবস্থায় সমর্থন করা চলে না!!!
তবুও গার্মেন্টস শিল্পের বিকাশে তাদের অবদান এবং তাদের অক্লান্ত পরিশ্রমের কথা বিবেচনা করে সবার উচিত দায়িত্বপূর্ণ আচরনের মাধ্যমে সুষ্ঠুভাবে সমঝোতার মাধ্যমে মালিক-শ্রমিকউভয়ের গ্রহণযোগ্য একটা বেতন কাঠামো নির্ধারণকরা ।
প্রত্যেক গার্মেন্টস কারখানা কমপস্নায়েন্স উত্তীর্ণ হওয়া বাধ্যতামূলক হওয়া আবশ্যক এবং এর ফলে নিরাপত্তা সুদৃঢ় হবে ও অনেক সমস্যা দূরীভূত হবে।গার্মেণ্টস শিল্পেসংঘটিত অপরাধ সমূহের বিচারের জন্য একটি বিশেষ ‘গার্মেন্টস ট্রাইবুনাল’ গঠনকরা যেতে পারে। আমাদের গার্মেণ্টস শিল্পে নিয়োজিত শ্রমিকরা (যাদের অধিকাংশই হচ্ছেন নারী-শ্রমিক) কিছুদিন পর-পর আমাদের চোখের অশ্রু ঝরিয়ে দলে-দলে প্রাণ বিসর্জন দেবে, মালিকদের লোভের বলিতে পরিণত হবে, তারপরও গার্মেন্টস টিকে থাকবে– এরকম ভাবাটা অন্যায়।
আমরা অর্থমূল্যে জীবনের ক্ষতিপূরণে আর বিশ্বাস করি না। অনেক হয়েছে, আর নয়।
শ্রমিক ভাই বোনদের অনুরোধ করছি, আপনারা নিজেদের পেটে লাথি দিবেন না।
আলোচিত রানা প্লাজায় দূর্ঘটনার পরও মালিক পক্ষ তাদের দায় অস্বীকার করেছেন, এ জাতীয় দূর্ঘটনা ঘটতে থাকলে চীনভারতের ষড়যন্ত্র লাগবে না, বিদেশে এমনিতেই আমাদের কোটা কমিয়ে দেবে।আগেইবলেছি যে সরকারের ওপর তেমন ভরসার কিছু নেই।সচেতন হতে হবে সাধারন নাগরিক দেরই, প্রশ্ন করতে হবে “হোয়্যার ইজ আওয়ার কনশাসনেস”।দূর্ঘটনা, প্রানহানী সব দেশেই কিছু না কিছু ঘটে।তবে তদন্ত হয়, দোষী লোকে শাস্তিপায়, ভবিষ্যতের জন্য শিক্ষা নেওয়া হয়।দায় অস্বীকারের সংস্কৃতি আর কতদিন? যে দেশে দায় নিজ কাঁধে নেবার মত লোক বেশী নেই সে দেশ খুবই দূর্ভাগা। দায় স্বীকার সভ্যতার মাত্রা নির্নায়ক।
No comments:
Post a Comment