Tuesday, January 13, 2015

বুটেক্স, একটি সদ্য প্রস্ফুটিত বিশ্ববিদ্যালয়ের করুন আর্তনাদ।।

গত ১০ জানুয়ারি প্রিন্ট মিডিয়া 'বাংলাদেশ প্রতিদিন' এবং ১৩ জানুয়ারি ইলেক্ট্রনিক মিডিয়া 'চ্যানেল আইয়ে' বুটেক্স নিয়ে প্রকাশিত প্রতিবেদন গুলো দেখে আমি যারপনাই বিব্রত এবং লজ্জিত। তবে রিপোর্টে সাধারন ছাত্রদের দাবিগুলো উপেক্ষা করা হয়েছে, যেটা ফোকাস করা হলে রিপোর্টগুলো আরো ফলপ্রসু হত। যদিও সেটা নিয়ে ...নামধারী ছাত্রদের মাঝে তীব্র প্রতিক্রিয়া পরিলক্ষিত হচ্ছে, বুটেক্সের জাত চলে গেল বলে যারা এখন ফেবুতে গরম করে ফেলেছেন, তাদের কি এতদিন এসব দুর্নীতি এবং অনিয়ম চোখে পড়েনি...।। আসলে এতদিন যারা বুটেক্সকে চেটেপুটে খেয়েছেন তারাই এখন মাঠে সরগরম বলে মনে হচ্ছে...।

যেসব স্টুডেন্ট এক সেমিস্টারে সবগুলো বিষয়ে ফেল করার পরেও নিজেকে ভাল ছাত্র ভেবে (ভাল ছাত্র কপালে তিলক দিয়ে প্রমানিত হয়না,হয় তাদের পারফরমেন্সে, অতীত রেকর্ড় ভাল, তবুও বিনা কারনে সবগুলো সাবজেক্টে ফেইল করেছেন, মানে আপনি আপনার নামের প্রতি সুবিচার করতে পারেননি)পরবর্তি সেমিস্টারে উন্নিত হবার দাবি করেন, আমি বলব উনি আহম্মকতার সর্বোচ্চ সীমায় অবস্থান করছেন এবং এসব সোনার ছেলেদের নতুন সেমিস্টারে প্রোমোট করে আমাদের বুটেক্সের মান সন্মান কতটুকু উদ্ধার হবে সেটা নিয়ে আমি যথেস্ট সন্দিহান।।

একটা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হিসেবে একজন ব্যাক্তিকে যতটা সততা, আদর্শ, দুরদর্শিতা এবং সাহসিকতার পরিচয় দিতে হয় নিতাই স্যারের মধ্যে সেগুলোর যথেস্ট অভাব রয়েছে, উনি সবসময়ই একটা মিনো বিড়াল ভাব নিয়ে ভীত সতন্ত্র থাকেন এবং লেজুরবিত্তি তাহার অতিশয় পছন্দ। ক্যাম্পাস কি উনি চালাচ্ছেন নাকি ছাত্ররা চালাচ্ছে সেটা নিয়েই অনেক জুনিয়র প্রশ্ন তুলেছে এর আগে...।

যেখানে ছাত্ররাজনীতির প্রানকেন্দ্র ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রশাসন এবং সাধারন ছাত্র ছাত্রী সম্পুর্ন এর প্রভাবমুক্ত এবং বিগত বছরগুলোতে ছাত্ররাজনীতির কোন কারনে ঢাবির কোন ক্লাস এবং পরীক্ষা হয়নি এমন রেকর্ড় নেই সেখানে আমাদের বুটেক্সে কথায় কথায় পরীক্ষা পরিবর্তন, ক্লাস অটো, সাধারন ছাত্রদের জোড়পুর্বক রাজনৈতিক পোগ্রামে যোগদানে বাধ্য করা, প্রশাসনের রাজনীতিকরন, শিক্ষক এবং কর্মকর্তা নিয়োগবানিজ্য, আত্মীয়করন তথা স্বজনপ্রীতিতা এবং বৈষম্যমুলক আচরন আমাদের বুটেক্সকে ক্ষতিগ্রস্থ করেছে সবচেয়ে বেশি।

শিক্ষকদের কাছ থেকেই ছাত্ররা আদর্শ শিখবে, কিন্তু তারাই যখন আদর্শহীন হয়ে পড়ে তখন গোটা সমাজ এবং এর শিক্ষাব্যাবস্থাই ভেঙে পড়বে!! আর সেই পচনটা যখন মাথায় ধরবে তখন এটা সর্বাংগে ছড়িয়ে পড়বে সেটাই স্বাভাবিক, বুটেক্সের অবস্থা এখন হয়েছে তাই।। বুটেক্সের কিছুটা দুর্নীতির সেকালের সাক্ষী আমরা নিজেরাই, এবং বর্তমানেও কিছু দৃশ্যমান দুর্নীতি একটু চোখ কান খোলা রাখলেই অনুধাবন করা যায়, আবার প্রতিদিনই জুনিয়রদের ক্ষোভের টেক্সটে ইনবক্স ভারি হয়ে উঠে। মাননীয় ভিসি মহোদয় এবং নেতৃত্বে থাকা ছাত্রদের উদ্ধেশ্যে এটাই বলব, স্বাধীনতা মানে সেচ্ছাচারিতা নয়, আপনারা যেটা করছেন সেটা ক্ষমতার অপব্যাবহার, বুটেক্স প্রশাসন এবং সাধারন ছাত্রদের সাথে সেচ্ছাচারিতা।।

পচন যখন ধরেছে এখন এর থেকে উওরনের পথ খোজাটাই হওয়া উচিত একমাত্র লক্ষ্য, আর যারা জাত চলে যাচ্ছে বলে যারা ঘটনা ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার চেস্টা করছেন তারা বুটেক্সকে নিয়ে কতটুকু ভাবেন, তাদের চিন্তা করার স্বাধীনতা এবং সক্ষমতা কতটুকু সেটাই এখন প্রশ্নবিদ্ধ।।

No comments:

Post a Comment